Description
গাছটির কাণ্ড মসলা হিসেবে ব্যবহার হয়। খুলনা অঞ্চলে চুইঝালকে মসলা হিসেবে ব্যবহার করে চুইঝালের মাংস রান্না করা হয়। রান্নায় এর ঝাল খাবারের স্বাদ বাড়ায় আবার শরীরেরও কোনো ক্ষতি করে না। ঝোল জাতীয় মাছ-মাংস সব কিছুতেই স্বাদ তৈরি করে। এদের কান্ডে ঔষধি গুণ আছে। বাংলাদেশের দক্ষিণপশ্চিম অঞ্চলের জেলা খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট এবং নড়াইল এলাকায় এই চুইঝাল মসলা হিসেবে খুব জনপ্রিয়।
রন্ধনশৈলীতে চুই ঝালের ব্যবহার:
- মাংসের তরকারি: মাংসের গভীর স্বাদে যোগ করে এক অনন্য মশলার ছোঁয়া, বিশেষ করে ধীরে রান্না করা গরুর মাংস ও খাসির পদে।
- মাছের ঝোল: মাছের সূক্ষ্ম স্বাদকে আরও বাড়িয়ে তোলে, তৈরি করে সুগন্ধী ঝোল।
- সবজির পদ: সবজির তরকারি ও ভাজিতে আনে এক উষ্ণ, ঝাঁঝালো মোড়।
- মসলার মিশ্রণ: তেল ও ঝোলে মিশিয়ে আনে এক নতুন স্বাদ।
- রান্নার নিয়ম: চুইঝালের কাণ্ড বা লতা ছোট ছোট করে কেটে ছাল ছাড়িয়ে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। সাধারনত এক কেজি পরিমান মাংশে ১০০গ্রাম থেকে ১৫০ গ্রাম চুইঝাল ডাটার মত ফালি করে কেটে দিয়ে রান্না করা যায়। রান্নার পর এই টুকরো চিবিয়ে খাওয়া হয়। মাছ, মাংস, বিশেষত রেড মিট রান্নায় চুইঝাল ব্যবহার করলে অনবদ্য স্বাদ হয়। ঝাল ছাড়াও রান্নায় মিশে যায় চুইয়ের অনন্য স্বাদ ও ঘ্রাণ।
চুইঝালের ঔষধিগুণ আছে:
- গ্যাস্ট্রিক সমস্যার সমাধান করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
- খাবারের রুচি বাড়াতে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করতে কার্যকর ভূমিকা রাখে
- পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহ সারাতে চুইঝাল অনেক উপকারী;
- স্নায়ুবিক উত্তেজনা ও মানসিক অস্থিরতা প্রশমন করে;
- ঘুমের ওষুধ হিসেবে কাজ করে এবং শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে এবং শরীরের ব্যথা সারায়;
- সদ্য প্রসূতি মায়েদের শরীরের ব্যথা দ্রুত কমাতে ম্যাজিকের মতো সাহায্য করে;
- কাশি, কফ, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে;
- এক ইঞ্চি পরিমাণ চুই লতার সাথে আদা পিষে খেলে সর্দি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
Reviews
There are no reviews yet.